নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চারদিকে ভেজালের ছড়াছড়ি। স্বাস্থ্যকর খাবার কে না চায়। এ কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘হোম মেইড’ খাবার। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেক নারী উদ্যোক্তাই এখন নিজের বাসায় রান্না করে এসব খাবার সরবরাহ করছেন। আর অনলাইনে এসব খাবারের অর্ডার ও ডেলিভারি হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই অনলাইনভিত্তিক দেশি বিদেশী খাবার সরবরাহের ব্যবসা জমে উঠেছে চাঁদপুরে। দেশি বিদেশী খাবার-দাবারের প্রতি আমাদের টান বুঝতে পেরে ঘরে বসেই খাবার তৈরি করে হোম ডেলিভারি দিচ্ছেন চাঁদপুরের বেশ কিছু নারী উদ্যোক্তাগন। অনলাইনভিত্তিক বলে এতে সাড়াও মিলছে প্রচুর। এই ফুড সার্ভিসের সবচেয়ে ভালো দিকটি হলো, খাবারটি তৈরি হচ্ছে ঘরোয়া পরিবেশে। সময়মতো মানসম্মত খাবার ডেলিভারি দিয়ে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি অর্জন।
সাধারণত এসব ফুড সার্ভিস যারা দেন তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পেজ খুলে নেন। সেখানে খাবারের ছবি, পরিমাণ আর দামসহ পোস্ট দেওয়া হয়। কীভাবে খাবার অর্ডার দেবেন তাও লেখা থাকে, দেওয়া থাকে ফোন নম্বরও। পেজে দেওয়া নম্বরে ফোন দিয়ে চাহিদামতো খাবারের অর্ডার দিতে পারেন যে কেউ।
এ ধরনের ফুড সার্ভিস ব্যবসায় জড়িত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মূলত কর্মজীবী মানুষই তাদের ক্রেতা। আবার অনেকেই নিজেদের বাসার জন্য বা আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠাতে এসব খাবার অর্ডার করেন। আসুন জেনে নিই এমন কিছু জনপ্রিয় অনলাইন ফুড সার্ভিসের কথা। চাঁদপুরে অনলাইনে খাবারের চাহিদা জানালে বাসায় খাবার বা পণ্য সরবরাহ করে এমন কয়েকটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো-
খান’স ধাবা –
খান’স ধাবা চাঁদপুরে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ নাম ও সুনাম কুড়িয়ে নিয়েছে। গত মে মাসের ২ তারিখ থেকে যাত্রা শুরু করে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ আলোচনায় আছে। এক একান্ত সাক্ষাতকারে খান’স ধাবার পরিচালক জানায় –
ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে বেড়ে উঠা আমি তানিয়া ইশতিয়াক খান চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স সফলতার সাথে শেষ করে ইউসিবিএল ব্যাংক চাঁদপুর শাখায় ইর্ন্টানি শুরু করি। হঠাৎ করোনাকালীন সংকট মূহুর্তের কারনে ইর্ন্টানি বন্ধ হয়ে বাসায় বসে থাকা শুরু করি। কিছুটা হতাশা কাজ শুরু করে নিজের মধ্যে।
ছোট বেলা থেকে রান্না করার খুব শখ। নতুন নতুন বিভিন্ন খাবারের রেসিপি তৈরি করে আমার পরিবারের সাথে উপভোগ করতাম। আর অনেক আগে থেকে ইচ্ছে ছিল নিজে কিছু করবো, নিজের একটা আলাদা পরিচয় হবে। আর আমার রান্নার একটা সুনামও ছিল। শ্বশুর বাড়িতে প্রায়ই কোন না কোন অনুষ্ঠান থাকতো আর সে সকল অনুষ্ঠানের রান্নার দায়িত্ব আমিই পালন করে বেশ প্রসংশা পেয়ে একটি রেস্টুরেন্ট করার ইচ্ছা মনে জাগে। তারই ধারাবাহিকতায় আমার হাজবেন্ড ও ছোট ভাইয়ের সার্বিক সহযোগিতায় গড়ে তুলি খান’স ধাবা নামে একটি ফেইজবুক গ্রুপ। https://www.facebook.com/groups/656819578493380/
আর সেই গ্রুপ থেকে শুরু হয় আমার পথ চলা। মাত্র ১৮০০ টাকা পুজি নিয়ে শুরু করি খান’স ধাবা। আলহামদুলিল্লাহ এখন অনেক পরিচিতি পেয়েছে চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। আমি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করে কৃতজ্ঞতা জানাই আমার হাজবেন্ড, মা, বাবা,ভাই বোনদের কাছে। যাদের সহযোগিতা না থাকলে আজ আমার নিজের একটা আলাদ পরিচয় তৈরি হতো না। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই আমাদের খান’স ধাবার সকল সম্মানিত ফুড লাভারস ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের।
তানিয়া খান আরও জানান বাইরের খাবার খেলে হয়তো বিভিন্ন ধরণের স্বাদ পাওয়া যায়। কিন্তু ঘরের খাবারের মতো মান আশা করা যায় না।যারা বাইরের খাবারে ঘরের খাবারের মান খোঁজেন তাদের জন্য রয়েছে হোমমেড ফুড ডেলিভারির ব্যবস্থা খান’স ধাবার মাধ্যমে।
খান’স ধাবা ২৪ ঘন্টা পূর্বে ওর্ডার নিয়ে ফ্রেস, স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করে বাসায় পৌছে দেয়।
খান’স ধাবার স্পেশাল খাবার –
– কাঁচা গোল্লা – ৪২০ টাকা
– স্পঞ্জ মিষ্টি – ২৫০ টাকা
– গুরের রস গোল্লা – ৩২০ টাকা
– মালাইচপ – ৪০০ টাকা
– নবাবী লাড্ডু -১৫০ টাকা
– জাফরান দই-১৮০ টাকা
– মাখনের খাঁটি ঘি -১৫০০ টাকা
– মাঠা – ১৪০ টাকা
– শাহী জর্দা – ২০০ টাকা
– শাহী দম বিরিয়ানি – ১৫০ টাকা
– পুডিন – ১৫০ টাকা
– বিফ ও চিকেন কাবাব
– আলু/ চিকেন/ বিফ তেহেরী
– ডিম খিচুরি / ডিম বিরিয়ানি
ওর্ডার করতে এখনই যোগযোগ করুনঃ
হট লাইনঃ 09602333177, 01736860568, 01670907970
E-mail: order@khansdhaba.com info@khansdhaba.com
website: www.khansdhaba.com
chaity’s dine চৈতীর রান্নাঘরঃ
শুরুটা একদম প্রস্তুতি ছাড়া।কোন রকম পুঁজি ছাড়া নেমেছিলাম। তখন বুঝিনি আসলে ই-কমার্স কি।টুকটাক অভিজ্ঞতা থেকে আমার ছোট করে একটা পেজ খোলা।মাস্টার্স প্রথম বর্ষে চাদঁপুর কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে অধ্যায়নরত আপনাদের আজকেএ চৈতির রান্নাঘরের রাধুনীর। অনার্স কমপ্লিট করার পর মনে হল হাতের কাজ কে কাজে লাগিয়ে কিছু একটা করি।আর সেই জন্যই আম্মুর সাপোর্টে কোন রকম পুজি ছাড়াই নেমে পড়ি বিজনেসে।প্রথম দিকে অনেক রকম প্রব্লেম ফেস করতে হত ডেলিভারি,রান্না,বাজার করা এসেব নিয়ে।কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ এখন সবার দোয়ায় সব কিছু গুছিয়ে চাদঁপুরের মানুষকে ঘরোয়া রান্নার তৃপ্তিদায়ক খাবার দিতে পেরে এবং তাদের স্যাটিসফাইড করে আজকের এই পর্যায়ে ঘরোয়া খাবার মানে পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে স্বাস্থ্যকর খাবার দেয়া আর সেটা করার চেষ্টা করি আমরা।আমাদের কিচেনে প্রায় সব ধরনের খাবার ই এবেইলেভল। উল্ল্যেখ্য কিছু খাবারের দাম ও নাম তুলে ধরলামঃ
চাইনিজ সেট মেনু ১১০/১৫০
চিকেন বিরিয়ানি ১৫০
চিকেন তেহেরি ১০০
বিফ বিরিয়ানি ১৭০
বিফ তেহেরি ১৬০
পিজ্জা ২০০
বার্গার ৭০
ফ্রাইং মোমো ১৩০(৬)
মালাই জর্দা ১৬০
চাওমিন ৯০
পাস্তা ১০০
চিকেন রোল ৩০
বিফহালিম ৪০০ কেজি
খিচুড়ি, গরুর মাংস ১৬০
পোলাউ,রোস্ট,কাবাব ১৫০
গরুর কালা ভুনা ১০০০ কেজি
মালাই রোল ৩৫
দই ১৯০
বিফ বাসমতি বিরয়ানি ১৯০
এছাড়াও আরো অনেক আইটেম এর সংযোজন রয়েছে তার জন্য ভিজিট করুন আমাদের পেজে।আমাদের পেজ লিংক👇https://www.facebook.com/Chaitys-Dine-%E0%A6%9A%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%98%E0%A6%B0-113069456774274/
সান্তা’স বাঙ্গালি পিঠা-
খুব একটা এখনও পরিচিতি হয়ে ঔঠেনি পিঠা নিয়ে আমাদের সান্তা আপু। গত জুন মাসের ৭তারিখে তার প্রথম ঘরোয়া অনুষ্টানে পিঠা নিয়ে কাজ শুরু। এক সাক্ষাৎকারে সান্তা আপু জানায়—
ইলিশের শহরের তার জন্মলগ্ন থেকে বেড়ে ঔঠা, ছোটবেলা থেকেই দেখত নারায়ণগঞ্জ নানার বাড়ির সুবাদে হাড়ি ভরে রসের পিঠা আসত তাদের বাড়িতে। ল’তে পড়ার পাশাপাশি আমি সংসার নিয়েই ব্যস্ত হয়ে ঔঠি। রোজ বিকেলে পরিবারের জন্য নানান নাস্তা তৈরী করার পাশাপাশি আমার ঢাকার ফ্ল্যাটে পিঠাভাবী নামে পরিচিত ছিলাম। কিন্তু পড়া আর করোনার সমস্যার কারনে তিনি চাঁদপুরে লকডাউনে আটকিয়ে যাই।
ছোট থেকে পিঠার প্রতি একটা আলাদা টান তার কাজ করত। আমি ভাবলাম কেমন হয় যদি আমি পিঠা দিয়ে উদ্যাোক্তা হয়ে উঠি?
যে কোন পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে পিঠা বানানো দায়িত্ব যখন আমার তাহলে কেনো না আমি এটাকে আমার পরিচিতি হিসেবে গড়ে তুলি।
পারিবারিকভাবে তেমন সাপোর্ট না দেখা গেলোও আমার বোনঝি ঝুমের মাধ্যমে আমি আমার স্বপ্নকে রুপ দিতে চলেছি। মাত্র ৫০০ টাকার পুজি নিয়ে আমি পিঠার কাজ শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ রেগুলার কাস্টমার না থাকলেও আমার রিপিট কাস্টমার আছে। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ একদিন আমি সব জেলায় পিঠা বিক্রি করতে পারব।
সান্তা আপু আরও জানান চাইনিজ, ইন্ডিয়ান আইটেমের খাবারের ছড়াছড়ি থাকলেও পিঠা নিয়ে চাঁদপুরে আলাদা কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা রেস্টুরেন্ট নেই। তিনি সবসময় তাজা খাবারে বিশ্বাসী। অর্ডার দেয়ার পরপরই তিনি পিঠা বানানো শুরু করে দেন। আগের দিনের পিঠা কিংবা পুরনো পিঠা তিনি কখনই কাস্টমারকে দেন না। তাই ১২-১৫ ঘন্টা আগে তিনি অর্ডার নেন যাতে করে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তিনি পৌঁছ দিতে পারেন
সান্তা’স বাঙ্গালি পিঠার স্পেশাল আইটেমগুলো—
★মুগপাকহন – ১২০ টাকা
★গোলাপ পিঠা- ১২০ টাকা
★ডিমের পিঠা -২৫০ টাকা
★ক্যাচা পিঠা- ১২০ টাকা
★নারকেল পুলি- ১০০ টাকা
★ভাপা পুলি- ১০০ টাকা
★কালোজাম – ১২০ টাকা
★বউপিঠা- ১৫০ টাকা
★ইলিশ পিঠা- ২০০টাকা
★পাটি পিঠা -২০০ টাকা
★লবঙ্গলতিকা- ১২০ টাকা
★ফুল, প্রজাপতি পিঠা- ১৫০ টাকা
★ নকশী পিঠা- ২৫০ টাকা
এছাড়া শীতকালীন পিঠাসহ নতুন নতুন পিঠা আনার ইচ্ছাও তিনি পোষন করেছেন।
অর্ডার করতে কল করুনঃ- ০১৯৪০৪৬৭০৬৯
এছাড়াও পেজের ইনবক্সে মেসেজ করুনঃ-
https://www.facebook.com/Shantas-Bengali-Pitha-108445144237388/
Leave a Reply