নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদপুর মতলব উত্তরের মোহনপুর ইউনিয়নের আইঠাদী মাথাভাঙ্গা গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের পর অন্তঃসত্ত্বা, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পেছন দিক দিয়ে কল কাটি নারছে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম হোসেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে মোহনপুর ইউনিয়নের আইঠাদী মাথাভাঙ্গা গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। সে ঢাকায় একটি বাসায় কাজ করে। ওই মেয়েটি গত ঈদুল আযহা বাড়িতে আসে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আইঠাদী মাথাভাঙ্গা গ্রামের একই বাড়ির আলী আজ্জমের ছেলে লিওন সকলের অজান্তে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে অনৈতিক কাজ করে।
পরবর্তীতে ওই মেয়েটির শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়।মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম হোসেন সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানানো হয়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন গংরা পায়তারা চালায়। ইউপি সদস্য গোলাম হোসেনের চক্রান্তের কারণে এ ব্যাপারে তিনবার সালিশে বসে রায় বাস্তবায়ন হয়নি। নির্যাতিত মেয়েটির বাবা অসহায় দিনমজুর। তাই বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। এলাকার নিরীহ মানুষের প্রশ্ন গোলাম হোসেনের খুটির জোর কোথায়, এলাকাবাসী জানান গোলাম হোসেন মেম্বার অবৈধ ভাবে লাভবান হয়ে এই অনৈতিক কাজে লিপ্ত দুশ্চরিত্রের লোকদের সহযোগিতা করে সে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বহু উদাহরণ তৈরি করেছেন। একটি চক্র তাকে সাহায্য করে।
নির্যাতিত মেয়ের বাবা কবির হোসেন বলেন, আমি গরিব মানুষ। তিন বার সালিশ হয়েছে। এখনও রায় বাস্তবায়ন হয়নি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি আইনের আশ্রয় চাই। এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম হোসেন জানান, এলাকাবাসীর নিয়ে সালিশ করেছি। সালিশের রায় হয়েছে ৫ লাখ টাকা কাবিন।সে সাথে ১ লাখ টাকা নগদ আদায় করে মেয়ের পক্ষে দেয়া হবে। এ সপ্তাহেই ওই ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে আপনারা আশ্বস্ত থাকতে পারেন।
Leave a Reply